
নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপরে অতিক্রম করছে
শেরপুরে বন্যার শঙ্কা
- আপলোড সময় : ২১-০৫-২০২৫ ০৫:২৮:৫২ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২১-০৫-২০২৫ ০৫:২৮:৫২ অপরাহ্ন


ভারতের মেঘালয় ও আসামে টানা ভারী বর্ষণ এবং শেরপুরে গত ৪ দিনের থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। এরই মধ্যে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত সোমবার রাত ১০টায় পানির উচ্চতা ছিল ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর, যা রাতেই কিছুটা কমে। তবে ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি এবং উজানে অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে আবারও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমেশ্বরী নদীর পানি বেড়ে গিয়ে নির্মাণাধীন চাপাতলী সেতুর পাশের নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করায় আশপাশের কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী, ভোগাই নদীর পানি (নকুগাঁও পয়েন্ট) বিপৎসীমার ৩৭৯ সেন্টিমিটার নিচে, নালিতাবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫৭ সেন্টিমিটার নিচে ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৮৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হয়েছে, যা জনজীবন ও কৃষি খাতে বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। জেলা কৃষি বিভাগ ইতোমধ্যে কৃষকদের পাকা ধান দ্রুত কেটে উঁচু স্থানে সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাইকিং শুরু হয়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, বৃষ্টি ও উজানের কারণে পানি বেড়েছে। তবে এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানান, ‘৯৪ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। বাকি ধান দ্রুত কাটার জন্য কৃষকদেরও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আশাকরি এক সপ্তাহের মধ্যে সব ধান কাটা শেষ হবে।’
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘বৃষ্টি ও উজানের ঢলে পানি বেড়েছে। তবে এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ